• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

আবহাওয়া

রেললাইনের তাপমাত্রা উঠেছে ৫০ ডিগ্রিতে, গতি কমানোর নির্দেশ

  • ''
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বৈশাখের গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাজধানী ঢাকাতেই তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই। এই গরমে দেশের রেললাইনগুলোতে তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। এতে লাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে স্থান ও রেললাইনের বয়স বিবেচনায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটাকে রেলের ভাষায়, স্ট্যান্ডিং অর্ডার বা স্থায়ী আদেশ বলা হয়। কারণ, প্রতিবছরই গরমের সময় এই ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে রেল কর্তৃপক্ষ। মূলত বেলা ১১ টাকা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গতি কমানো হয়। কারণ, এই সময়টাতেই রেললাইন বেশি গরম হয়।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, পৃথিবীর উপরিভাগে যত তাপমাত্রা থাকে, রেললাইনে তার চেয়ে ১০ বা ১২ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা তৈরি হয়। রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তাঁরা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা আসে। এই তাপমাত্রায় নতুন লাইন বেঁকে যেতে পারে। লোহার পাত জোড়া দিয়ে দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়। যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কিন্তু অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

রেলওয়ের টঙ্গী জংশন স্টেশনের মাস্টারের গতকাল মঙ্গলবারের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওই দিন রেলপথের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া গেছে। এ জন্য জনস্বার্থে টঙ্গী থেকে নরসিংদী এবং টঙ্গী থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর অংশে আসা-যাওয়ার সব ধরনের ট্রেন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে। একইভাবে সারা দেশে নিজ নিজ অঞ্চলের কর্মকর্তারা তাপমাত্রা মেপে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত বা গোটা রেলপথে গতিসীমা আরোপ করেছে।

রেলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গতিসীমা কমানোর বিষয়টি সময়-সময় পরিবর্তন করা হয়। তাপমাত্রা কমে গেলে আবার স্বাভাবিক গতিতে চলার অনুমতি দেওয়া হয়। বাড়লে গতিসীমা কমানো হয়।

রেলের পূর্বাঞ্চলসহ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) লালমনিরহাট অঞ্চলে মিটারগেজ রেললাইন। এসব লাইনে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। আর পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের একাংশ) ব্রডগেজ রেললাইন। এসব স্থানে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। মালবাহী ও লোকাল ট্রেনগুলোর গতি কম থাকে। আর আন্তনগর ট্রেনের গতি বেশি।

রেলওয়ের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা সরদার সাহাদাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, গরমে সতর্কতার অংশ হিসেবে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এবারও সারা দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রেলের কর্মীদের রেললাইনের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads